রোববারের নিমপাতা
৯.
পরিপাটি জোৎস্না জেনেই
এই ত্রস্ত
দৌড়...
তবু আগুননক্ষত্র—
নীল ব্রীফকেসে
একদিন নিয়ে আসবে
জাহাজডুবি পরিচ্ছেদ
তার আগে এই নাও
দুইহাত
দ্যাখো, আজলায় ভরে আছে
সেইসব রেখা
তুমি কি শালুকের লাল দ্যাখো?
ভেতরটা কি সব অস্থির অস্থির
নয়াধান আসলেই
মিইয়ে যায় রঙবাহক
১৪.
কি এমন ছুঁয়ে দিলে
এখনো ঝরছে শাল দুধ!
শরৎ বেলায় এই শালিক-পা
অসুখের হাইকু লিখে
রেখে যায় মেঝেতে আর
ফোঁটায় ফোঁটায় নিস্তেজ হয়
পরিভাষা
তুমি তো জানো—
কতটা কাছে থাকি
ভিমরুল হুলে, হননে
তবে কেন ক্লেদ মাখামাখি
জখমের ধ্বনি
সংযমে সংযমে আর কতটা
পিতল হবো?
১৭.
জলের ফোয়ারা থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভাবনা
তোমাদের গুহাচিত্রে কোনোদিনই হবে না লাল
দ্যাখো, পোড়া হাত নির্দেশ করতেই—
পাখিরঙ-পর্বতদ্বয় উড়তে থাকে ইশরাফিলে
আর যতসব স্নিগ্ধ সৌখিন শৃঙ্খল নিঃশেষে বিভাজ্য
আজ তা বেঁকে বসে বসন্ত ব্যঞ্জনায়
তোমরা কি বোঝ না—
দুই পাড় দূরে রেখে জেগে ওঠা পিচ্ছিল জ্ঞান
কতটা করুণা করে নেমে আসে প্রস্থান পর্বে
২৯.
তার প্রতিবেশির চোখে তাকালে
বেরিয়ে আসে অসুখের রেণু
প্রতিটি তলপেটে লেগে আছে
আঠার আত্মহত্যা
তবু—
তাদের মাংসের চাঁদ থেকে
অহর্নিশ ফোটে—
ছুরি মাধুর্য
তারা ভুলে যায় কিভাবে
জামদানি শাড়ি বাড়িয়েছিল
বৈধ ক্ষত
প্রতিবেশিরা এখনো তার পথেই হাঁটে
হাঁটবে শেষ অব্দি স্পষ্ট;
অথচ, বোকা বণিকের মতো
হিসেব করতে গিয়ে—
শূন্য এঁটে দেয় বাম করতলে
৩০.
দূরত্ব বজায় রেখে হয়েছে মন্থন
কী এক অসুখ-সুখে খুলে যায় দ্বার
তবে আজ জানলাম, অন্ধকারও এক
গোপন আলো
পরিযায়ী পাখিদের চোখে
কখন আয়না ভেঙে হয় খান
জানা নেই, তবু ভাঙনের গতিতেই
নতজানু এই হাত—
রোবারের নিমপাতা, এক উদ্ভুত আবেশ ও ইশারাময় কবিতা। পরিমিত বোধ-ভাষা-শব্দচয়ন-বয়ান এই সিরিজ কবিতাটিকে মাখোমাখো করেছে। শুভ কামনা অশেষ।
ReplyDeleteআহা!ওস্তাদ প্রতিটা লাইন ঢেউ তুলে দিল।
ReplyDelete