বাক্‌ ১১৫ ।। শাহ মাইদুল ইসলাম




দুপুরগাছে বাহ্‌ ২০

মেয়েটার ভেতরে ভারতের গরম
কী নিবিড় চওড়া
পৃথিবীকে চমকে কাহিল করে দেবে
অলৌকিক দুপুর ঘিরে ধরলো
বন্দরে ভোঁ করে সাইরেন
তিন পা অনুতাপ করেছি কেবল
আমি মুগ্ধ ভীষণ কাফের
বাতাসে গেঁড়ে বসে আছি
চিটচিটে কটুগন্ধে ভারী বাতাস
তোমাকে ফেটে পড়তেই হবে
রাত্তিরে খাবার সময়

তোমার চোখের দ্বিধার ভেতর
অল্প খোলা তুমি
আঁঠালো ফাঁক গলে চুঁইয়ে পড়ছো
কোন এক লাল সেপ্টেম্বরে
দুপুরের অশোক আলোয়
সরল ও সোনার থিরবিন্দুতে
টুকরো টুকরো গভীর
রক্তবর্ণ ব্যঞ্জনধ্বনি
আমার কণ্ঠস্বরের দিকে তেড়ে আসে
আজ ও চিরদিকের জন্য
আমি অর্ধমৃত 

আমি অসংখ্য গহীনে নিমজ্জ্বিত
সাহসলাগা আদুল গায়
দেখে তোমার ঝিরঝিরে মায়া হলো
জানালা দিয়ে একখিলি মুখ
বাড়িয়ে দিলে
দুটো কামনাতাড়িত ঘুঘু তখন
শিরিষের পুরুষ্ট শাখায়
আহাদের জারজ ক্ষুধার ভেতর
অনন্ত পথের গান
সরল এক টুকরো
দস্যু এক টঙ বানিয়ে রেখেছে

উবু হয়ে তরিতরকারি কুটে রাখছিলে
হা-ঘরে বউলে
ঝোঁকে লেলিহান চুলোয়
গুজে দিচ্ছিলে শক্তপোক্ত লাকড়ি
বটিতে জ্যান্ত কৈয়ের ধড়
আলগা ধড় ও দেহগুলো তড়পাচ্ছিল
নানা খুঁটিনাটির সবচাইতে মধ্যে
তোমার এই অত্যন্ত
থেকে থেকে ঝোঁকে পড়া থেকে
একজোড়া মাখন মাখানো হাসি 
তাড়স্বরে ছিটকে বেরোল

আমাকে তুমি বিছিয়ে দাও
দম পেষাইয়ের মেশিনে
তোমার চওড়া গরমের উপর
কৃষ্ণ মখমলের উজ্জ্বল জাজিমে
আকাশের দেবতা কটাক্ষ করলে
রঙ হলুদ ফেটে পড়লো
ঝটিতে মুখ আচমকাক্রান্ত
কালো-হলুদ ডোরাকাটা
আমাদের চলবার কড়ি বর্গাগুলো 
খনিশ্রমিকের দাসত্ব খাটিয়ে
আসো সংগ্রহ করে লই

শ্রী পাহাড়ের দেশে তুমি
কারুকার্যখচিত ভীষণ
আচানক ঘোরের জন্তু দিয়ে ঘেরা
ডানে বায়ে শ্বাসমূল কেঁপে যাচ্ছে
বাতাসের ঝটকা এসে জানালায়
আহাদের ছড়ে গেছে ত্বক
আতঙ্কের মাঝে ঘনাল বন্যোৎসব
বাহ হয়েই যখন গেছে
পূবের দরজা দিয়ে
দেখি তোমার অসহ্য পা
শুনি পুড়ছে ঘরের অসহ্য অন্দর

                                (চিত্রঋণ : Candido Costa)

No comments:

Post a Comment