আসলে শুক্রানু বললে ছবিতে দেখা ওই সাদা সাদা ব্যাঙ্গাচিগুলো কে মনে পড়ে, ওই রূপের সাথে সাক্ষাত নেই, বড্ড গভীরের জিনিস। বইয়ে
পড়া জিনিস। ইউটিউবের ভিডিও তে দেখা যায় এক ঝাঁক সাদা ব্যাঙ্গাচি পঙ্গপালের মত ছুটে চলেছে - তাদের মধ্যে নাকি একজন জিতবে এই
প্রতিযোগিতায়। এই হারা, জেতা ইত্যাদিতে
শব্দ আমাকে খুব ক্লান্ত করে, আসলে
চতুর্দিকে এই প্রতিযোগিতাই চলছে। আমাদের আল্টিমেট ডেস্টিনেশান আটকে গেছে- এই হার
জিতের মধ্যে। অথচ পুরো বিশ্ব ব্রম্ভান্ডের নিরিখে দেখলে এই ব্রম্ভান্ডের কোন হার
জিত নেই , কোন মহৎ উদ্দেশ্য নেই - উদ্দেশ্য হীন পুরো। এই পুরো জীবজগৎ হঠাৎ আগাছার মত
জন্মে গেছে, নাও জন্মাতে পারত।
আমি কিন্তু
ওই সাদা থকথকে জিনিসটার মধ্যে কোন
হার জিত খুঁজে পাই না , এই প্রতিদিনের বিরক্তি, খারাপ লাগা, প্রতিদিনের
ঢ্যামনামো, হার জিত ইত্যাদী থেকে পালিয়ে যে
জিনিসটার কাছে আশ্রয় নেওয়া যায় সেই জিনিসটার হল ‘হস্ত মৈথুন’ । ডাক নামে বলি ‘নাড়ানো’
‘খচানো’ । আরো যে কত কি বলি। এই নাড়ানোতে ব্যাপারটার
প্লাস পয়েন্ট হল এখানে সবাই জেতে কারণ এখানে কেউ হারে না। আমার কাছে শক্রানু এবং
শক্রানুর আবির্ভাব থেকে তার মুক্তির ওই ছোট্ট গতিপথ টুকু হেব্বি ইম্পটেন্ট, ছোটবেলায় যেমন ভূগোল বইয়ে গঙ্গা নদীর
গতিপথ খুব ইম্পরট্যান্ট ছিল ঠিক তেমন। হিমালয়ের গোমুখ গুহা থেকে উৎপন্ন হয়ে
বিভিন্ন শহর গ্রাম ছুতে ছুঁতে তাদের
সমৃদ্ধ করতে করতে গঙ্গা ছুটে চলেছে । ভাবি অণ্ড কোষ থেকে লিঙ্গ পর্যন্ত এই সামান্য
পথ ওই সাদা, নোনতা জল আমার সাহারায় যে শিহরণ সাপ্লাই করে তার গতিপথ যদি আরো দীর্ঘ
হত । ভাবি ওই গতি ধারা যদি এই শরীরের হিমালয় থেকে একেবারে কন্যা কুমারী
পর্যন্ত বিভিন্ন জনপদ , শহর ,গ্রাম ছুঁয়ে
ছুঁয়ে এঁকে বেঁকে ছুঁটে যেত তাহলে শিহরণের মাত্রা কী হত ? যাই হোক প্রকৃতি থেকে তো
কত কিছুই পাইনি, এটাও তার মধ্যে অন্যতম। বীর্যের একটা সুবৃহৎ গতিপথ আমার খুব
দরকার ছিল, আসলে আমি আরো আরো শিহরণ চাই ওই জলের কাছে ওই জলপথের কাছে , কিন্তু পাই
না এই না পাওয়া টা আমরা অসুল করি অন্যভাবে, অন্য রকম ভাবে, আরো বিভিন্ন ভাবে। ওই জলকে সহজে শরীরের
বাইরে মুক্তি দিই না, বাঁধ দিয়ে রাখি,
জলের প্রবল শক্তি যতক্ষণ শিহরনের বাঁধ
ভেঙ্গে দিচ্ছে। প্রবল তোড় যতক্ষণ না ভাসিয়ে দিচ্ছে আমার মন শরীর। কিন্তু শেষ
পর্যন্ত তো শত চেষ্টার পরেও বাঁধ ভেঙ্গে যায়।
আচ্ছা
বাঁধ ভেঙ্গে গেলে মানুষের মনের অবস্থা কী হয়? শূন্যতা ঘিরে ধরে কী? শূন্যতা কি
গলা চেপে ধরে? বাঁধ ভেঙ্গে যাবার পর পালাতে হয় প্রান বাঁচানোর জন্য- আমিও পালিয়ে
যাই, নিজের থেকে। ঘুমিয়ে পড়ি না হলে সিনেমা দেখি না হলে ঘর থেকে বেড়িয়ে যাই। আসলে
পালিয়ে যাই, পালিয়ে অন্য কারো কাছে আশ্রয় নিই। আমি আমার সময়, আমার জীবন সহ্য করতে পারছি না। তাই
একটার থেকে অন্যটার কাছে পালিয়ে যাই । যদিও কেউ অনন্ত সময় আমাকে নিজের কাছে রাখেনা
- সিনেমা শেষ হয়ে যায়, ঘুম ভেঙ্গে যায়, এই পৃথিবীতে রাত্রি নেমে আসে... তাই আবার
পালানো শুরু হয় , এই পালিয়ে পালিয়ে কোথায় যাব, এই পালানোর আল্টিমেট ডেস্টিনেশান
কিসসু নেই ব্রম্ভান্ডের মত। আছে শুধু
পালানো- আছে শুধু পাহাড়ের নিচ থেকে অপর পর্যন্ত সিসিফাসের মত বিরাম হীন পাথর তোলা।
ওই পাথরে পাহাড়ের মাথায় কোন মন্দির হবে না, যে পাথরে কোন প্রতিমা হবে না...
গুরু ব্রক্ষ্ম
ReplyDeleteei to chai..sabash bhai@ avishek
ReplyDeleteThis comment has been removed by the author.
ReplyDelete