বাক্‌ ১১৫ ।। পলাশ কুমার পালের চারটি কবিতা




রেডিওতে আঁকা চুম্বন


রেডিও জানত না সে কতটা পাখি
কতটা আকাশ, তার তারে ঝোলে-

চুপ রাত্রিতে সে এক রঙ
মুখোমুখি নৈঃশব্দভাঙা এক প্রেম

চলচ্চিত্র সরিয়ে
রিংটোন সরিয়ে
কাঁঠালের কোয়ার মতো,
বীজগুলো-

কতক মোমেরে
কতক বারুদেরে
খোলকে ঢেকে শামুকেরা হাঁটে
শামুকখোলের কবিতায়...





বইঘরের বউ


আঙুলে করে একের পর এক বই সরিয়েও
সর পরে না দুধে,
তাকে তাকে তাক ওড়ে...

মেঝে জুড়ে লিক পরে
চাকায়

আরও কিছুটা এগিয়ে
আরও কিছুটা পিছিয়ে
প্রিজমে কয়েনেরা ভেঙে যায়...

টেবিলে চশমা
জগন্নাথের মতোই রথে বসে ঘোরে

যেন বউ।





জ্যামিতিক


কয়েকটা সরলরেখার মতো
কয়েকটা অর্ধবৃত্তের মতো
কয়েকটা ঢেউয়ের মতো,
বেঁচেথাকাগুলোর বাঁট থেকে
দুধ ঝরে...

কখনো বাঁট ধরে
কখনো বাঁট হয়ে
গোয়াল জড়িয়ে যায় চাদরের মতো,
দেয়ালের জ্বরগুলো চুষে নেয় ঘুঁটে...





একসাথ নয় একসাথ


'জলেতে কাঁকড় ভেজালে মিছরিসকাল আসে না'
জেনেও পুকুরে ঢিল ছুঁড়ে

প্রেমের চামড়া কোঁচকায়
আরও এক দুপুর-

সাদাকালো ম্যাগাজিনে 'মাছরাঙা' কবিতা
শুনতে শুনতে
মাছেরা পুকুর সাঁতরায়...


                                  (চিত্রঋণ : Paul Henry)

4 comments: