হুহু নির্জন
মানুষ তো সাইকেল ঠেলে
আগুনও দেখতে যায়। দেখতে যায় বন্যা, মারী, অত্যাশ্চর্যফুল।
হুহু রাত ও ফাঁকা রাস্তা মাড়িয়ে পৌঁছায় আরও হুহু নির্জনে। একলা কী ভাবে তখন?
অতীত ঈগল, যবের ছড়ার পরে' তুমুল স্ফটিক? নিজের ভেতরে একলা ও ভয়ঙ্কর নির্জনকে
দেখে আতঙ্কিত হয়ে ওঠে সে। সেইসাথে পুলকিত। যেমন: সাইকেল ঠেলে আগুন দেখতে গিয়ে
মানুষ পোড়া গেরস্থের আর্তনাদে হতচকিত হয়ে পড়ে, নিজেকে ভাবে
সৌভাগ্যবান; জলভাসীর কান্নায় কাঁদে, উঁকি
দেয় জ্বালামুখে, জলে খোঁজে নিজেরই আবক্ষমূর্তি; বিপদে দুদ্দাড় চালায় কাঠের পা। কতদূর যেতে পারে ধুলো? কতদূর ধূলিধূসর? কে ঈর্ষাকে বাঁচিয়ে রাখে—নির্জন প্রেম, হুহু দ্রোহ নাকি টলটলে জ্বলন্ত
বিহবলতা? বিহ্বলতা—খরা, বন্যা, মারী ছাড়িয়ে এক অত্যাশ্চার্য ফুল । মানুষ তার
খড়িওঠা চিবুকে একমাত্র মালি...
নৃ
সম্পর্কের ভেতর হে ঝুম-মুকুল আমগাছ, তোমার
উপর
লাফিয়ে পড়ে আকাশ। পড়ি—দ্রুততা, পত্রমন্থর,
সু, নৃ
আমি ঘ্রাণে পাস, দৃষ্টিতে ক্ষীণ, কখনো
হইনি কৃতকার্য
তবু স্কুলঘর৷ ফিরেঘুরে মেঘ৷ বিষণ্ন রোমশ চক-ডাস্টার...
(চিত্রঋণ : Maher Sabbar)
No comments:
Post a Comment