দুর্গা
ছোটবেলায় বাবার আঙুলে ধরে
মণ্ডপে গিয়েছিলাম। দুর্গার ক্ষমাহীন হাতে ওই লোকটা মাটিতে পড়ে উজ্জ্বল মুখরা মহিলাদের
দীপ্র উলুধ্বনিতে শুয়ে পড়েছিল। বাবা ওই লোকটা কে? শয়তানের থুথু মুখে, সলাজ
শ্যাওলার অসুর কোন দীর্ঘ তিরস্কৃত অন্ধকার! দুর্গার হাত গুণে
প্রার্থনার বহু ব্যবহার ঘুরে মানুষের কোমল মনে, ছেলেরা নাচছিল। আমি দেখতে পাচ্ছিনা
বাবা, দেখতে পাচ্ছিনা।
বাবা এবার আমাকে তার কাঁধে
তুলে নিলেন। এবার স্পষ্ট হলো দুর্গার স্তন, যেন দুই দুইটা গোলাপ ঠিকমতো ফুটতে না পারার
কষ্ট থেকে মুক্তি পেলো। অনেক আলো নিভিয়ে জ্বলে আছে একমাত্র গভীর নাভির নদ, ওখান থেকে
আলো আসে, যেন উড়ে গেলো এক লক্ষ একটা শুভ্র কবুতর। চোখের কোণে ঝকমক
করছে তীক্ষ্ণ ত্রিফলা। জায়নামাজে বসা নবীন নামাজি আমি সালাম ফেরাতেই দেখতে পেলাম দুর্গার
উরু, লাল চোখ মুখ। আমার ভালো লেগে গেলো। দুর্গা দুর্গা, চাঁদের শরীর
ভেঙে ঝরে পড়ছে আলো। হাত তুলে দুর্গা ডাকছেন, আয় আয়!
জুবি ভাবী
টাকা হাতে এলেই চলে যাবো
জুবি ভাবীর কাছে। ধনেপাতার ভর্তা দিয়ে এক প্লেট ভাত খেয়ে বোতলের ছিপিটা ক্যাড়েৎ
করে খুলবো। চারদিকে প্রজাপতি উড়বে। আমি নাচবো। জুবি ভাবীর ধার ঘেঁষে গাইবো সব হারানোর গান। প্রজাপতি উড়বে, দুই স্তন
থেকে নেমে আসবে দুই ঝরণা। হরিণ, দু’টা বাচ্চা হরিণ আমার
কোলে এসে খেলবে তিরিং তিরিং। এবার টাকা হাতে এলেই চলে যাবো ভবানীপুর। হলুদ বেবিট্যাক্সিতে
দুলতে দুলতে রাত হয়ে আসবে। গভীর, হাজার বছরের সেরা আচোদা রাত। টাকা এলেই ভুলে যাবো
পাওনাদারের নাম। টাকা এলেই চোখ পল্টি, জুবি ভাবী জুবি ভাবী! তরকারিতে ঝাল বেশি। জুবি ভাবী, তোমার পেট শান্তির পিলার। টাকা হাতে এলেই এবার
ভাড়ায় খাটাবো নাভি।
(চিত্রঋণ : Otto
Müller)
মাজহারভাই,মুগ্ধ ভালোবাসা।
ReplyDelete❤🌷❤
যেন দুটো বাচ্চা হরিণ, তিরিং তিরিং...
ReplyDelete