। । দেবী । ।
স্বপ্নের রাতে দেবী
গর্ভবতী হয়েছে । ইন্দ্রজাল ছড়িয়ে । নষ্ট তারা
ও বরফকুচির সাথে ।
বেশ কিছু ইঁদুর গুদামঘরে জমা শস্য
হাতড়ে হাতড়ে বার
করে আনে
চিঠি ।
দেবী প্রসব করেছে আকাশের কালো ধোঁয়া মেঘ । তল্লাটময় ফুটে
উঠেছে আগুনপিণ্ড ।
দুধ ফুটছে নেভানো আঁচে ।
বের করে আনি
অসাড় লিঙ্গ । ভিতরে সবই
ভৌমজল । শৃঙ্খল । আনাচে কানাচে ঢেউ ।
দেবী জন্ম দেয়
অনায়াসে ।
দরজা খোলে দৃশ্যের । এতকাল দেওয়াল ছিল সেখানে । পোশাকে লেগে থাকত শুঁয়োপোকা ।
স্তনের ওপরে গুটি
ভেঙে বেরিয়ে আসত রঙিন প্রজাপতি ।
প্রতিমা নগ্ন হলে
বিদ্যুৎপ্রবাহ হয় ফুলগাছে । মৃতশিশু প্লাস্টিকে মুড়ে পুঁতে দেয়
শিরীষ গাছের নীচে
।
ফুলে ফেঁপে ওঠে
বালিয়াড়িগুলো ।
শিরার মধ্যে দিয়ে
দুশো বছরের নগ্নতা হাঁটে ।
। ।
ক্লেশ
। ।
—অকেজো শরীর।
—বজ্রের ?
—শঙ্খের মতো খোলসপ্রিয়
।
— নোঙরের মতো গেঁথে
যায় কি
সৈকতে ?
—যোনিমুখে ত্রিধারা । আড়ষ্ট
। এমনকি নিজেও
উদ্বায়ী অসন্তোষে।
—বাষ্পের মতো জমিয়েছে
কি তার
সবটুকু তেজ
?
—নিস্তেজ ।
—অকেজো ।
—একদিন পোড়া কুয়াশা
খেয়েছিল সে
।
—হলুদের পাত্রে কেন
দেয়নি মুখ
?
—রক্ত ছিলনা শরীরে
। ঝর্ণা ছিলনা
। কি করে
থাকবে ? কোনওদিন
ফোটেনি তো ফুল।
—গর্ভে ধরেনি আগুন
?
—ঝড়ে ভেঙে পড়েছিল
মেরুদণ্ড ।
লোমকূপ ভরা
ছিল চোরাবালিতে।
(চিত্রঋণ
– Michelangelo)
No comments:
Post a Comment