ছবি : ভোর মুখোপাধ্যায় |
।। মজুমদার বাড়ির পুজোয় ১টা লোক
ঢাক বাজাচ্ছিল। অন্যদের সঙ্গে বেশ ভালোই বাজাচ্ছিল। কিন্তু ভালো বাজনা কেউ আলাদা
করে খেয়াল করে না। আলাদা কিছু নয়ও সেটা।
এবার হল কী, হঠাৎ লোকটা প্রসাদি ফলের খোসায় পা পিছলে ঢাকসমেত পড়ে গেল। এবার তো
সবাই হতচকিত হয়ে তাকাল তার দিকে। সবাই এগিয়ে এল। লোকটা দেখল প্রেস্টিজ নিয়ে
টানাটানি। পয়সাকড়ি না দিয়েই তাড়িয়ে না দ্যায়। সে বুদ্ধি খাটালো। ওভাবে পড়ে থেকেই
কোমরের ব্যথা অগ্রাহ্য করে ঢাক বাজাতে শুরু করল।
লোকজন
হতবাক। এ আবার কী?
বাড়ির
জাঁদরেল কর্তা গলা ছেড়ে জিজ্ঞাসা করলেন, “ওটা কী করছ হে?”
লোকটা বাজাতে বাজাতে বলল,
“এঁজ্ঞে এইটা একটা নোতুন ব্যাপার। শুধু আমি পারি কত্তা। এরে কয় চিৎ-বাজনা। চিৎপটাং
হয়ে বাজাতে হয়।”
এবার সবাই আশ্বস্ত হল। জমিদার
বাড়িতে একটা অন্যরকম ব্যাপার হচ্ছে। হাততালি দিতে শুরু করল।
যেটা
বলার, আমরা অনেকেই নতুন বলতে এই চিৎ-বাজনাই বুঝে থাকি।
যেমন, আমরা অনেকেই, অসৎ হওয়ার
সুযোগ পাইনি বলেই সৎ, আবার, অনেকেরই পুরাতন হওয়ার সামর্থ্য নেই, কিন্তু, অ্যাক্সিডেন্টালি
নতুন।
‘বাক্ ১১৫’-এ আপনাদের স্বাগত
জানাই।।
অনুপম মুখোপাধ্যায়
।।প্রতিবার নতুন কিছু ম'নের তির্যক সত্য বেরিয়ে আসে।। যেখান থেকে আরো সৎ হ'তে ইচ্ছা করে।।
ReplyDeleteচরম সম্পাদকীয়। উদাহরণের সাথে বার্তাটি হল 'অ্যাক্সিডেন্টালি নতুন '। এটা মনে হয় একটা সুযোগ, যার সদ্ব্যবহার করতে পারাটাই কৌশল।
ReplyDeleteঅ্যাক্সিdent...
ReplyDeleteচিৎ-বাজনা কথাটা মনে পড়ে গেল। তখন দশম শ্রেণির ছাত্র ১৯৮৩ সাল। বিদ্যালয়ের সহশিক্ষক নন্দদুলাল গাঙ্গুলি এই কথাটা প্রথম বলেছিলেন। প্রসঙ্গটা ছিল একটা ছেলে ও কতকগুলি ক্লাসের মেয়ের সাথে প্রেমের গল্প। বেশ গোলমাল হচ্ছিল। স্যার সব বুঝতে পেরে বললেন, "তোদের চিৎ-বাজনার দরকার।" আমি কথাটার অর্থ অনেক পরে কলেজে পড়াকালীন বুঝেছিলাম। যে বাজনায় চিৎ হওয়া যায়। আজ এই প্রসঙ্গটাই উপযুক্ত হয়ে উঠল।
ReplyDeleteভোরের কাজটাকে অনেক ভালোবাসা❤
ReplyDeleteঅসৎ হবার সুযোগ পাইনি বলেই সৎ....অসাধারণ অনুপম দা।
ReplyDeleteএই সম্পাদকীয় যেন না ফুরায়। তোমার কলমের ধার রক্তাক্ত হাওয়া
ReplyDelete